অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মূল্যস্ফীতি সারাবিশ্বে আছে, আমাদের এখানে নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও তুলনামূলক তা কম। যা বেড়েছে তা সহনীয় পর্যায়ে আছে। অন্য কোনও দেশের সঙ্গে মেলালে দেখবেন এখন মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনও মূল্যস্ফীতি নেই। গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির রেট। দেশের মানুষের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা দুটোই বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জগুলো ভালোভাবেই নেই। এগুলো উত্তরণে আমরা ফ্লেক্সিবল অ্যাপ্রোচে আছি। আমরা চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চাই। বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য ৪৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, আমরা ৬০ বিলিয়নে যাবো। আমাদের রফতানিও কমবে না। আমাদের হোঁচট খেতে হবে না এবং আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো না।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা বাড়ালাম। আমি যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলাম সে সময় আমি নিজে স্টাডি করেছি। সেসময় আমাদের রেমিট্যান্স যা অর্জন করার কথা, আমরা ৪৯ শতাংশ অর্জন করতাম ফরমাল চ্যানেলে আর ইনফরমাল চ্যানেলে বাকিটা আসতো। আমি চিন্তা করলাম এটাকে ফরমাল চ্যানেলে আনলে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং সবাই এটার বেনিফিটটা পাবে। সেই চিন্তা থেকে আমরা প্রথম ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করি।
এরপর লক্ষ্য করলাম আমাদের যে উদ্দেশ্য সেটি সফল। আমাদের যে অ্যাভারেজ রেমিট্যান্স ছিল ১৪ শতাংশ, এই প্রণোদনা দেওয়ার পর প্রথম বছরে রেমিট্যান্স বেড়ে হলো ১৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আমাদের রেমিট্যান্স আরও বেড়ে যায় এবং ২০২০-২১ সালে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এই অর্জন আমি মনে করি একদিকে আমরা সহজ করেছি এবং পাশাপাশি ২ শতাংশ প্রণোদনা কাজে লেগেছে। কারণ রেমিট্যান্স পাঠাতে একটি খরচ করতে হয় সেটি কাভার করতে পারছে। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার। সেটা করতে গেলে আমরা দেখলাম যদি ইনসেনটিভ আরেকটু বাড়িয়ে দেই তাহলে বর্ধিত যে খরচ তারা সেটি কাভার করতে পারবে। এ জন্য রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়িয়ে দিয়েছি।