শেকৃবির কৃষি মেলায় হারিয়ে যাওয়া বায়স্কোপ ও পুতুলনাচের প্রদর্শনী

, ক্যাম্পাস

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-12-13 21:45:41

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত নবান্ন উৎসব ও কৃষি মেলায় ফুটে উঠেছে বাংলার আবহমান কালের গ্রামীণ সংস্কৃতি ও প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পুতুল নাচ এবং বায়োস্কোপ প্রদর্শনী।

এছাড়া নবান্ন উৎসব ও কৃষি মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল শিক্ষার্থীদের তৈরি গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ধরনের পিঠার আসর।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত হয় 'নবান্ন উৎসব ও কৃষি মেলা ১৪৩১'। মেলার অন্যতম আকর্ষণ বায়স্কোপ প্রদর্শনী এবং পুতুল নাচ দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে।

এ ছাড়াও মেলায় ছিলো শিক্ষার্থীদের তৈরি দেশীয় পিঠা, পায়েস, ফিরনি, আচার সহ ছিলো নানান নারী প্রসাধনী সামগ্রী। এ ছাড়াও কৃষি কাজে রাসায়নিক সারের বিকল্প ব্যবহার উপযোগী জৈব পদার্থের প্রদর্শনী, কৃষিতে ফসলের চিকিৎসা ও কৃষি পরামর্শ প্রদানের ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র 'ই-কৃষি ক্লিনিক' এর কৃষি বিষয়ক পরামর্শ প্রদান স্টল ছিলো মেলায়।

শিক্ষার্থীদের তৈরি মুখরোচক পিঠা ও খাবারের মধ্যে পাটিশাপলা, দুধ চিতুই, দুধ পুলি, ক্ষীর পায়েস, সিজি পিঠা, দিল্লি কা লাড্ডু, দই, ফিরনি, বাহারি রকমের পেস্ট্রি কেক, আচার, বেনী পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাকান পিঠা, ফুলঝুরি, শিম ফুল পিঠা, গুড়ের পায়েস, তাল পিঠা, কিমা পুরি, নারকেল পুলি, গাজরের সন্দেশ, মোহন পুরী, পান্ডুয়া, মাল পোয়া, শামুক পিঠা, পাস্তা, নুডলস অন্যতম। এছাড়াও ছিলো নারীদের জন্য চুড়ি, আলতা, চিকলি, নাক ফুল, কানের দুলসহ নানা সাজন সামগ্রী।

মেলায় ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসা শেকৃবির শিক্ষক মো. আখতার হোসেন বলেন, 'এক দিনের এই মেলায় মন ভরে না। আমারে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রামের মতো, গ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই শহরে এক টুকরো গ্রাম৷ আমার সন্তানেরা এখানে না আসলে বুঝতো না এই নবান্নটা আসলে কি। কাল আমার ছেলে আমাকে বলেছিলো বাবা বায়স্কোপ টা আসলে কি। আমরা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। আজ সে নিজে দেখলো। এই পুতুল নাচ, এটা আসলে এই সময়ে এসে দেখা কি সম্ভব? এটা অত্যন্ত সুন্দর আয়োজন ছিলো। আমাদের সন্তানেরা শহুরে ফাস্ট ফুড খেয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠার নাম গুলোও জানতো না। আজ তারা অনেক কিছুই দেখলো। সব মিলিয়ে এমন সুন্দর আয়োজন আসলে ১ দিনে মন ভরে না।'

মেলার বিষয়ে জানতো চাইলে শেকৃবি কৃষি ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ বলেন, 'আমরা শেকৃবি কৃষি ক্লাব থেকে এই মেলার আয়োজন করেছি যেহেতু কৃষি এবং নবান্ন একে অপরের পরিপূরক। এখানে শিক্ষার্থীদের পিঠা নিয়ে বিভিন্ন স্টল আয়োজন করেছি। কৃষি বিষয়ক দুটি কোম্পানির স্টল রয়েছে। পাশাপাশি আমরা বায়স্কোপ, পুতুলনাচ ও কালচারাল প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমরা গ্রাম বাংলা এবং কৃষি ও নবান্নের যে আমেজ তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। '

এ সম্পর্কিত আরও খবর