বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) টিম উৎসবের আয়োজনে "নবারুণে নবান্ন ১৪৩১" পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাঙালির চিরায়ত নবান্ন উৎসবের সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মরণ সাগর ও শহীদ মিনারের পাদদেশে ওই উৎসবটির আয়োজন করা হয়।
বাকৃবির শিক্ষার্থীদের মাঝে নবান্নকে সবার মাঝে ফুটিয়ে তুলতে "ক্যামেরায় নবান্ন" ও "তুলিতে নবান্ন" আয়োজন করা হয়। ক্যামেরায় নবান্নতে চারজনকে পুরস্কৃত করা হয় এবং তুলিতে নবান্নে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
ক্যামেরায় নবান্নতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন মোহাম্মদ ওয়াকিল, যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান
অর্জন করেছেন মো. ওবায়দুল্লাহ এবং নওশি নাওয়াল ঐশী, তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন শাদমান সামিন।
তুলিতে নবান্নে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন আজবাহ মারিয়াম, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন অদিতি চৌধুরী, তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন সিফাত বিন আলম। পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলেই বাকৃবির শিক্ষার্থী।
কৃষকদের নিয়ে মোরগ লড়াই আয়োজন করে টিম উৎসব। এছাড়া গ্রামীণ কৃষাণীদের তৈরি কুটির শিল্পও স্থান পায় এই নবান্ন উৎসবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষুদে চালের ভাতের, পিঠাপুলি, জলছাপের আয়োজনও করা হয়।
'নবারুণে নবান্ন' উৎসবে শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে রাখার জন্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যারও আয়োজন করে টিম উৎসব। টিম উৎসবের সদস্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিকাল রেজিমেন্ট অংশগ্রহণ করে৷ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো "মেট্রোলাইফ"। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
টিম উৎসবের সাধারণ সম্পাদক নুবাহ নাশিতা ফারিহাত বলেন, টিম উৎসবের সকল সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজকের আয়োজনটি এত সুন্দর হয়েছে। আমাদের ইচ্ছা ছিলো বাকৃবির সকল বর্ষের শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে উপভোগ করবে। এছাড়া তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়। পাশাপাশি জলছাপ ও কাঠের পুতুলও ছিলো এই আয়োজনে। আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের কিছুটা আনন্দঘন সময় আমরা উপহার দিতে পেরেছি। আমাদের অনুষ্ঠানের সফলতার জন্য স্পন্সর, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই।