'সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক' স্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ -২০২৪ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন একুশে টিভির ক্যাম্পাস প্রতিনিধি শাহীন আলম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক শেয়ার বিজ ও বাংলাদেশ নিউজের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সামি আল সাদ আওন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অবস্থিত ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে দুপুর ২:৩০ থেকে ৩ টা পর্যন্ত সরাসরি ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সহকারী প্রক্টর বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম আকন্দ এবং ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম।
ভোটগ্রহণ শেষে দুপুর সাড়ে ৩টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, জার্নালিজম বিভাগের তন্ময় সাহা জয় এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাখা ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যমঞ্চ ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি শাহীন আলম বলেন, আজকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর নতুন পথচলার সূচনা হয়েছে। যারা প্রার্থী হিসেবে ছিলাম তারা দুজনেই আমার কাছের বন্ধু। আমরা চেষ্টা করবো যেন সবার মাঝে প্রতিযোগিতা থাকলেও কখনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা না থাকে। ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে সবার সাথে মিলেমিশে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। এজন্য সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, তোমরা সৎ ও সাহস নিয়ে এমন কাজ করবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম বয়ে আনতে পারো। সাংবাদিকরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ। তারা আমাদের ভালো খারাপ সব দিক তুলে ধরবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পকেট সাংবাদিক সংগঠন রাখার পক্ষে না। তোমাদের মতো করে সত্য প্রকাশ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক বলতে তোমরা এখনও শিক্ষানবিশ। স্টুডেন্ট লাইফ থেকে ট্রেনিং নিয়ে পরবর্তীতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।