কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর, প্রতি আসনে লড়বে ২০ জন

, ক্যাম্পাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো | 2024-10-23 19:23:18

সারাদেশে একযোগে কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায়। এবার কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৭১৮ টি। আবেদন করেছে ৭৫ হাজার ১৭ জন। সে হিসেবে এবার এক আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ২০ জন ভর্তিচ্ছু।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।

সিভাসু উপাচার্য বলেন, কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে এবার নেতৃত্ব দিচ্ছে সিভাসু। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে তিনি গণমাধ্যমের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

লিখিত বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা ৮টি মূল কেন্দ্র এবং ৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। মূল কেন্দ্রসমূহ হলো: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ। উপকেন্দ্রসমূহ হলো: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম।

সিভাসুর নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর এবং সশরীরে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ০৯ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ভর্তি পরীক্ষার ফোকাল পয়েন্ট প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. আমীর হোসেন সৈকত এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো: রায়হান ফারুক।

কৃষিগুচ্ছে থাকা ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো-বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-১১১৬), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-৪৩৫), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-৬৯৮), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-৪৪৮), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-২৭০), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-৪৩১), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-১৫০), হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-৯০) ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা-৮০)।

এ সম্পর্কিত আরও খবর