কোটা আন্দোলন করায় শিক্ষার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-07-06 21:14:20

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিতর্ক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সংগঠনটির মডারেটর ও বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে তাকে সংগঠনটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিতর্ক ক্লাবের একাধিক সদস্য অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নাম মোশাররফ হোসাঈন। তিনি বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি হল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের পদেও রয়েছেন।

সমাজবিজ্ঞান বিতর্ক ক্লাবের মেসেঞ্জার গ্রুপে ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের অব্যাহতি দেওয়া সংক্রান্ত একাধিক বার্তা সংবলিত স্ক্রিনশট পাওয়া গিয়েছে। যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অব্যাহতির মেসেজ দেওয়া হয় তা অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের নিজের ফেসবুক আইডি বলে নিশ্চিত করেছেন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী।

এক স্ক্রিনশটে দেখা যায়, বিতর্ক ক্লাবের মেসেঞ্জার গ্রুপে অধ্যাপক জামাল লিখেছেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার জন্য ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মোশররফকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। নতুন সাধারণ সম্পাদক সারাফ আফ্রা মৌ।

গ্রুপে আরেক বার্তায় অধ্যাপক জামাল উদ্দিন লিখেছেন, যারাই সমাজবিজ্ঞান বিভাগে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হবেন, তারা কখনই ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বজনীন কমিটিসমূহের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না। ক্লাস ক্যাপ্টেনসহ এ জাতীয় কোনো ধরনের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না।

একই গ্রুপে আরেক মেসেজে তিনি লিখেছেন, যারা বাইরের ঘটনাকে নিয়ে বিভাগের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের কারণ হবে, তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতীতেও এগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

এছাড়া এমন ধরনের বার্তা অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থবর্ষের '৪০৪ পলিটিক্যাল সোস্যালজি' নামক মেসেঞ্জার গ্রুপেও দেন।

অব্যাহতির বিষয়ে মোশাররফ জানান, কোটা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় এবং ফেসবুকে কোটা আন্দোলন নিয়ে পোস্ট করায় জামাল উদ্দিন স্যার আমাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তিনি একতরফাভাবে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে সোশ্যালজি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে যেখানে আমাদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা রয়েছে—এমন গ্রুপে বহিষ্কারের নোটিশ প্রকাশ করেছে। প্রত্যেকটা ব্যাচের সি আর গ্রুপে মেসেজ দিয়ে বলেছেন। এছাড়া আদালত অবমাননার দায়ে মামলা দেওয়ার হুমকিও পর্যন্ত দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে অধ্যাপক জামাল উদ্দিনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর