আমরা হাঁটতেছি
শোনো মদ, মাতাল হইতে যাও!
আমরা হাঁটতেছি, তাউরাইতেছি একটু একটু
দুপুরবেলার রইদ শরমাইতেছে,
লেকের পাড়ে গাছগুলা
দুলতেছে একটু একটু
‘হেই, হেই!’ক—মাছেরা ডাকতেছে
‘আমাদের কাছেও একটু বসো!’
শীতের বাতাসের মতন আমরা আসছিলাম,
আর চলে যাইতেছি তো…
প্রুফ রিডিং
আমি তোমার ছোট্ট একটা বানান-ভুল
তুমি বারবার দেখতেছো, অথচ
চোখে পড়তেছে না,
মনে মনে খচখচ করতেছে—
কী জানি ভুল, কী জানি ভুল…
আমি তোমার কথা-বলার ভিতর
একটা উচ্চারণের ভুল
তুমি ভাবতেছো, ঠিকই তো আছে! অথচ
আমি বইসা আছি তোমার ঠোঁটের আগায়,
আল-জিবের ভিতরে, আত্মার ভিতরে একটা দম
আমি তোমার সমস্ত জীবন, ছোট্ট একটা ভুল
তোমার সাথে সাথে আছি, থাকতেছি…
যেই দিন তুমি থাকবা না, হারায়া যাব তো
আমিও, তোমার না-থাকার ভিতর
এইম ইন লাইফ
আমি সেই ফেইক আর্টিস্ট হইতে চাই, তোমার কাছে যারে রিয়েল মনেহয়
দুপুর
সময়, একটা চুপচাপ দুপুর
ঘুম ভাঙার পরে শোনা যাইতেছে
একটা রিকশার আওয়াজ,
টিকটিক টিকটিক টিকটক…
দেয়াল ঘড়িটা বাজতেই আছে
আমি জানতে চাই না সময়
একটা চুপচাপ দুপুরের ভিতর
একটু একটু কইরা আবার ঘু মা য়া প ড় তে ছে স ম য়
জুতা কাহিনী
আমার অনেকগুলা জুতা হারায়া গেছে;
তোমার বাসায় খুঁজতে গিয়া দেখি আরো
অনেকগুলা জুতা পইড়া আছে, আর তার
মধ্যে আমার জুতাও আছে, কিন্তু দেখি সব
একটা কইরা; আর যেই জুতাটা খুঁজতেছি, সেইটাও নাই।
আমি খালি পায়ে হাঁটতে বাইর হইলাম।
তোমার বাসাতে তো তুমি নাই। আমার জুতাও
নাই। হাঁটতে হাঁটতে আমি চলে আসছি একটা খোলা
জায়গায়, অনেকেই হাঁটতেছে, জুতা পায়ে। তাদের
পায়ের দিকে আমি তাকায়া থাকি। জুতা আছে তো
সবার পায়েই, আর জুতা থাকা বা না-থাকাটা কোন
ঘটনা না তেমন; জুতা না থাকলেও তো আমি একই
মানুষ! তখন আমি আমার ভয়টা থিকা বাইর হয়া
আসি, আর পিছনে তাকায়া দেখি তুমি ডাকতেছো,
“আরে, অই তো তোমার জুতা, অইখানে!” আমারে
দেখাও তুমি, একটু দূরে। আমি আমার জুতা দেখি
না তখন, দেখি না তোমারেও। ঝাপসা হইতে হইতে
তুমি একটা একটা চইলা যাওয়া শীতের কুয়াশার
মতন, বাতাসে মিলায়া যাওয়া সিগ্রেটের ধোঁয়ার
মতন, একটা জুতার স্বপ্নের ভিতর, হয়তো ছিলা,
হয়তো ছিলা না, কিন্তু নাই আর এখন; এখন সামারের
রইদ, এখন সুন্দর দিন—রিয়ালিটির, কোনো ইল্যুশন নাই
আর একটা না-থাকা জুতার