বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: মাসব্যাপী বইমেলার প্রথম শিশুপ্রহরে শিশুদের হইহুল্লোড়ে মেতে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার শিশু চত্বর।
শুক্রবার শিশু প্রহরের শুরুর দিকেই সিসিমপুরের আয়োজনে শিশু চত্বরের বিশেষ মঞ্চে ‘ইকরি’ ও ‘হালুম’কে আনা হয় শিশু প্রহরটা শিশুদের জন্য আরও প্রাণবন্ত ও উপভোগ্য করতে। ইকরি ও হালুমকে পেয়ে বাঁধভাঙা আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে কোমলমতি শিশুরা।
আগে থেকেই খবর পেয়ে ইকরি ও হালুমের অপেক্ষায় সিসিমপুরের মঞ্চে উপস্থিত ছিল শিশুপ্রহরে আসা কচিকাঁচারা। সিসিমপুর মঞ্চে ইকরি ও হালুম উঠে শিশুদের সাথে কুশল বিনিময় করে, নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তোলে শিশু চত্বর।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেলায় আসা কচিকাঁচা ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বইমেলায় শিশুপ্রহরের জন্য শুধু কচিকাঁচারাই অপেক্ষা করে না। এ দিনের জন্য বছরব্যাপী অপেক্ষা করেন অনেক অভিভাবকও।
দুই সন্তানকে নিয়ে বইমেলায় আসা শ্যালী হালদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, শিশুপ্রহর উদযাপনের জন্য শুধু বাচ্চারাই অপেক্ষা করে এমন নয়, অভিভাবকরা শিশুপ্রহরে তাদের সন্তানদের নিয়ে আসার জন্য প্রতীক্ষা করে থাকেন। আমি আমার বাচ্চাদের কথায় কথায় গল্পে গল্পে বইমেলায় শিশুপ্রহর সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। তাদের মনে বই এবং শিশুপ্রহর সম্পর্কে আগ্রহ জাগানোর জন্য এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। বইমেলায় শিশুপ্রহর হয়, সেখানে বাচ্চাদের জন্য কী কী থাকে— এসব বলে তাদের ভেতরের আগ্রহটাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি সবসময়।
শুক্রবার মেলায় আগত কচিকাঁচাদের বাড়তি আনন্দ দিতে এদিন দুইবার সিসিমপুর মঞ্চে থাকবে ইকরি ও হালুম। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ইকরি ও হালুম শিশু চত্বর মাতাবে কচিকাঁচাদের জন্য।