বুয়েটকাল [কিস্তি ৩]

, শিল্প-সাহিত্য

শাকুর মজিদ | 2023-08-31 21:38:01

কিস্তি ২.  মেডিকেল হোস্টেলের প্যারাসাইট জীবন

বুয়েটপরশ

১৯৮৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। বুয়েটে আমাদের প্রথম ক্লাস। স্কুল-কলেজ জীবন একত্রে কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু হওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠার শেষ ছিল না আমাদের। ১৯৮৪ সালে যারা উচ্চ মাধ্যমিক অতিক্রম করেছি তারা সে বছর নভেম্বর মাসের ২৯-৩০ তারিখে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি বুয়েটে। ফল প্রকাশে বুয়েট সবসময়ই ত্বরিৎ। ’৮৫র জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তির যাবতীয় কলা কানুন শেষ করে তখন ছিল আমাদের ক্লাস শুরুর প্রতীক্ষা। কিন্তু সামনে আটকানো ছিল সেশন। সে সময়কার স্বৈরাচারী শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে করতে এবং আন্দোলন না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অতর্কিতে বন্ধ করতে করতে সময় চলে যায়। মেঘে মেঘে নয়, ঝড় ঝঞ্ঝায় বেলা বয়ে যেত অনেক। শুরু হতো সেশন জট। সেই জট পাক ধরতে শুরু করে দিনে দিনে। দিন যায়, পরীক্ষা আসে, পরীক্ষা যায়। কিন্তু চার ও পাঁচ বছরের কোর্স চার ও পাঁচ বছরে কখনোই শেষ হয় না! এমনই এক বিরুদ্ধ স্রোতের মধ্যেই শুরুর তারিখ হয়।

শুনেছিলাম, ঢাকার বাইরে থেকে যারা আসে সেসকল ছাত্রদের জন্য হলে সিট থাকবেই। মেয়েদের হল নাই। তারা তিতুমীর হলের সাথে এটাচড। বুয়েটের এদ্মিন বিল্ডিংয়ের কোনায় কয়েকটা রুম আছে সেখানে কয়েকজন ছাত্রী থাকে।

১৭ ফেব্রুয়ারি রাতেই চলে আসি তিতুমীর হলের প্রভোস্টের রুমে। যিনি এসিস্ট্যান্ট প্রভোস্ট তিনি ফরম ফিলাপ করিয়ে ৫৪০ টাকার ফি নিচ্ছেন। এটা বার্ষিক ফি। সারা বছরের জন্য আমার থাকার খরচ মাত্র ৫৫০ টাকা। খারাপ না। আমি ১০৬ (দক্ষিণ) এর একটা স্লিপ পাই।

আমি আমার জন্য বরাদ্দ পাওয়া রুমে চলে যাই। আমার হাতে রুম এলটমেন্টের কাগজ, কিন্তু পড়ি বিপাকে।  রুমে গিয়ে শুনি, আমার জন্য বরাদ্দ হওয়া সিটে যে বিদায়ী বড় ভাইয়ের বিছানা, তা খালি হতে সময় লাগবে আরো কিছুদিন। তিনি রেফার্ড পেয়েছিলেন, পরীক্ষাও দিয়ে দিয়েছেন। শুধু ফল প্রকাশ বাকি। এই ফল প্রকাশ হলে, তিনি পাশ করে গেলে, এখানে আমার সিট হবে। ফেল করে গেলে তিনিই থেকে যাবেন। থেকে যাবার সম্ভাবনা তার আছে। কারণ এর আগে আরো দু’বছর ধরে তিনি যাবেন যাবেন করে যাচ্ছেন না। ভাই আমার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বিয়ে করে ফেলেছেন তাঁর এক ছাত্রীকে। টিউশনি করাতে করাতে সম্পর্ক। সেখান থেকে বিয়ে। থাকেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এখনো ভালো করে জানে না যে তিনি পাশ করেননি। তাঁরা জানেন, আগের বছরই তিনি পাশ করে বেরিয়েছেন, এক বছর ধরে চাকরির জন্য ঘুরছেন। সরকারি চাকরি ছাড়া তিনি চাকরি করবেন না বলে সময় নিচ্ছেন। শ্বশুরবাড়ি লালবাগে। শ্বশুরের বড় দোকান আছে কেল্লার কাছে। তিনি অনেক আদরে সেখানে থাকেন। কিন্তু তার একটা আলমারি আছে তিতুমীর হলের এই রুমে। মাঝে মাঝে তিনি রাতেও থাকেন এখানে। সে সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে কী বলে যে আসেন আমরা কেউ তা জানি না।

আমি আরো কিছুদিন মেডিকেলের হোস্টেলে থাকি।

সকাল আটটায় ক্লাস। সাতটায় ঘুম থেকে উঠে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সার পরোটা-ভাজি-ডিম-চা’র নাস্তা সেরে  ক্লাসে যাই। বুয়েট ক্যাম্পাসে এই প্রথম ছাত্র হিসাবে যাওয়া। বড় বড় দালান, রাস্তা, হল, সবকিছু নিজের নিজের মনে হতে শুরু করে। আগে ভয়ে ভয়ে তাকাতাম। এখন সেই ভয়টা আর নাই।

আর্কিটেকচার বিল্ডিংটার সৌন্দর্যই আলাদা। প্রশস্থ সিড়ি মাড়িয়ে ৫ তলায় উঠে ক্লাস। ড. মুক্তাদির, যিনি এই ডিপার্টমেন্টের হেডও, তিনি এলেন প্রথম ক্লাসে। কী কী বলেছিলেন আজ আর মনে নাই। তবে আজ যেহেতু সোমবার, তাই টি ব্রেকের পর এগারোটায় নিয়ে যাওয়া হলো ওয়ার্কশপে। উড ওয়ার্কশপ। এটা নাকি একটা সেশনাল ক্লাস। ৫০ নম্বরের। পাশ করলে লাভ নাই, ফেল করলে ফেল। পুরা ইয়ার রিপিট। কী করে করাত দিয়ে কাঠ কাটতে হয় তার তরিকা শেখার পর কতগুলো কাঠের ফালিকে ৬ ইঞ্চি করে কেটে দেওয়া ছিল কাজ।

দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত লাঞ্চব্রেক। তারপর আবার আড়াই ঘণ্টার সেশনাল ক্লাস। বিষয়ের নাম—গ্রাফিক্স। গ্রাফিক্স ক্লাসে লিস্ট দেওয়া হলো কী কী কাগজ আর কী কী কলম কিনতে হবে। নিউ মার্কেটের কোন কোন দোকানে তা পাওয়া যায়, তারও নাম।

ক্যাম্পাস জুড়ে হৈ হৈ রৈ রৈ। এই দল ওই দলের মিছিল, স্লোগান। সবাই নবীনদের মিছিলে মিছিলে রক্তিম শুভেচ্ছা জানায়। ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরা অঙ্গন। সাড়ে দশটার টি ব্রেক মিছিলের উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। দল করা বড় বড় ভাইয়েরা মিষ্টি করে হাসেন, নিজেদের পরিচয় দেন এবং ক্যাফিটেরিয়াতে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। কেউ কেউ দাওয়াত দেন ডিনার ও টিভির প্রোগ্রাম সেরে সাড়ে দশটায় হল গেস্ট রুমে চা খাওয়ার, পরিচিত হবার।

দ্বিতীয় দিনে বিটকিলে ধরনের একটা অনুষ্ঠান হলো। এর নাম ‘র‌্যাগ’, ফ্যাকাল্টির ভাষায় ‘ধোলাই দিবস’। ধোলাই দিবসের মূল উদ্দেশ্য—নতুন ছাত্র-ছাত্রীর সাথে ফ্যাকাল্টির অন্যসবের পরিচয়। ক্লাউন শ্রেণির একজন নেতা, যিনি অল্প সময়ে আসর জমাতে ওস্তাদ এবং একটানা তিনঘণ্টা খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে রসিয়ে রসিয়ে অনুষ্ঠান চালাতে পারতেন, তেমন একজন হতেন ‘মডারেটর’। আমরা প্রথম বছর পেয়েছিলাম মঞ্জুর ভাইকে। পরের বছর যদিও তার বিদায় ছিল। তবুও তাঁকেই  আবার ডাকা হয়েছিল ধোলাই পর্ব পরিচালনায়। এর পরের বছরগুলোতে মামুন ভাই, মাহবুব ভাই এবং আমাদের সাথের রম্যও এ কাজটি ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পেরেছিল।

সাদামাটা তিন চারঘণ্টার এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পূর্ব-শর্ত ছিল নিজের জুতা-স্যান্ডেল ক্লাসরুমে রেখে, নিজের টুলটি মাথায় করে বড় একটা ক্লাস রুমে নিয়ে যাওয়া। সিনিয়রদের খবরদারি সেখান থেকেই শুরু হয়ে যেত। যে ছাত্রীটি কখনো গ্লাসে পানি ঢেলেও খায়নি, তাকেও যে কোনো মূল্যে নিজের টুল মাথায় করে নিয়ে যেতে হতো। অনুষ্ঠান শেষে নিজের স্যান্ডেল-জুতা না পাওয়া ছিল নিয়মেরই অংশ। তবে হারাত না কিছুই, খুঁজতে সময় লাগত বেশ।

ক্লাসরুমের সামনের অংশে আধা নোংরা ফ্লোরের ওপর পা মেলে বসে থাকার পর রোল নম্বর অনুযায়ী ডেকে ডেকে দাঁড় করানো হতো একেকজনকে। নিজের নাম, কলেজের নাম আর কারো কারো দেশের বাড়ি বলার পর, যার কপাল খুব ভালো, সে হয়তো এক-আধ লাইন গান গেয়ে পার পেয়ে যেত। তবে থলের ভিতর তাবিজবৎ কাগজের মধ্যে যা কিছু লেখা থাকত তা না করা পর্যন্ত নিস্তার ছিল না। বড় ভাইয়েরা বরাবরই ছেলেদের প্রতি ছিলেন উদার এবং অনীহাগ্রস্ত। আমাদের মধ্যে যেসব মেয়ে ছিল এবং বিশেষ করে, যাদের গায়ের রং ছিল কিছুটা দেখার মতো—তাদের নিস্তার ছিল না। যে কোনো মূল্যে বাংলা সিনেমার একটা সংলাপ, যা কাগজের মধ্যে লেখাই থাকত, তা তাকে অভিনয় করে দেখাতে হতো। এক্ষেত্রে শব্দসমূহ উচ্চারণ করতেও যদি কোনো ছাত্রীর আপত্তি কান্নার রোলে বিবর্তিত হতো, তাও রক্ষা ছিল না।

আমাদের তনুর ভাগে পড়ল এক সিনেমার ডায়লগ। তাকে বলতে হবে, ‘শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি তো মন পাবি না’। তনু এই কাগজটি হাতে নিয়ে কান্না শুরু করে দিলো। কিন্তু কান্নাকাটি কোনো সমাধান নয়। বড় ভাই শুনতে পেয়েছেন, এমন স্বরে হলেও তাকে এই সংলাপ বলে পার পেতে হয়েছিল।

আমার পালা এলে পড়লাম আরো বিপদে। মনজুর ভাই বলেন—‘ও ক্যাডু? তুই এইচ, না পি’?

আমি ‘এইচ’ বা ‘পি’র কিছুই বুঝি না। কিন্তু জবাব আমাকে দিতেই হবে। একবার বলি ‘এইচ,। সবাই মিলে হাসে। আবার বলি ‘পি’। আরো জোরে সবাই হাসে। এবার বলা হলো—ফ্রন্ট রোল দাও। আমি পটাশ করে দুইটা ডিগবাজি খেয়ে বিদায় নিলাম।

র‌্যাগ শেষে বড় ভাইয়েরা গল্পের উপদেশ বাণীর মতো র‌্যাগের উপকারিতার ভাষণ দিলেন। বলেন—‘ফ্যাকাল্টির ৫ বছরের কত টিচার কতভাবে পঁচাবার চেষ্টা করবে। সারারাত জেগে ডিজাইন করে সকালে টিচারকে দেখানো মাত্র তোমার ডিজাইন উড়িয়ে দেবে। তখন যাতে অপমানবোধ না জাগে তার জন্য এসব। নিজের মধ্যে রেজিস্ট্যান্স তৈরি করার জন্য এর কোনো বিকল্প নাই।’ বড় ভাইদের এসব উপদেশবাণী কর্ণমূলে নিয়ে, বড়ই বেদনাহত হয়ে ধোলাই দিবসে দুটো ফ্রন্টরোল দিয়ে ডিপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে যাই।

আমি দিনে ক্লাস করি বুয়েটে, রাতে গিয়ে মেডিকেল হোস্টেলে ঘুমাই। আমার একটা কালো রঙের ব্যাগ আছে। এই ব্যাগের ভেতর থাকে আমার ড্রাফটিং পেন্সিল, সেট স্কোয়ার। আর থাকে কিছুদিন আগে পাওয়া একটা ইয়াসিকা এম এফ টু অটোফোকাস ক্যামেরা।

এরমধ্যে আমি নাট্যকার হয়ে গেছি আর কয়েকটা পত্রিকায় আমার লেখা বেরিয়ে গেছে, এটুকু জেনে মেডিকেলের অন্য ছাত্ররা আমাকে প্যারাসাইট মনে করে অত তাচ্ছিল্য করে না। ৮ নাম্বার রুমে আবুল হাসনাত মিল্টন নামে কৃষ্ণকায় এক ছেলের সাথে পরিচয় হয়। সেও ঝিনাইদহের ক্যাডেট। তৌকীরের সাথে ছিল। কবিতা লেখে, আবৃত্তি করে। আমারে বেশ পাত্তা দেয়। তাদের কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান হলে আমাকে নিয়ে যায়।

একদিন তৌকীরের অনুরোধে শহীদ মিনারে গেলাম। তাদের একটা পথনাটক আছে—থিয়েটারের পালাবদল। ওয়ার্কশপে যারা চান্স পেয়েছিল তারাই অভিনয় করবে। এই প্রথম আমার পথনাটক দেখা। তৌকীরকে দেখলাম লাঠি নিয়ে কী কী করল। দূরে ছিলাম, কথা বুঝিনি।

সেদিনই  অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিলের লক্ষ্যে ৬ দিনের পথনাট্য উৎসবের সূচনা হলো। ফেরদৌসী মজুমদারের উপস্থাপনায় বক্তৃতা করলেন বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সন্তোষ গুপ্ত আর লিয়াকত আলী লাকি।

মিল্টনের  সাথে বিকেলবেলা টিএসসিতে চলে আসি। আমার সাথে আলাউদ্দিনও থাকে। তার খুব শখ আবৃত্তি শিখবে। কামরুল হাসান মঞ্জুর একটা কোর্স আছে। সেখানে সে ভর্তি হয়েছে। আমি তাকে টিএসসিতে ঢুকিয়ে বাইরে হাঁটাহাঁটি করি। টিএসসির সামনে একটা সড়ক দ্বীপ আছে। এখানে প্রতিদিন বিকালবেলা নাটক, গান, কবিতা আবৃত্তি হয়। অনেক দল, অনেক লোক, কিন্তু বিষয় একটা—এরশাদ। প্রায় নাটকেই হাসপ্যান্ট পরা কিছু ঠোলা থাকে। এগুলো সবাই সেনা বাহিনী। লিয়াকত আলী লাকি, রেজানুর রহমান, লিমন, এরা বেশ ভালো জমাতে পারেন।

ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে বইমেলা শুরু হলো। আমি ক্যামেরা নিয়ে হাজির। এই আমার প্রথম ঢাকার বইমেলা দেখা। আমি লেখক দেখতে পছন্দ করি। বড় লেখকদের সবাইকে আমি চিনি। আমাকে এক হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কেউ চেনেন না। মেলায় দেখি এক স্টলে হুমায়ূন আহমেদ বসে বসে তার বইয়ে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। সামনে অনেকগুলো তরুণী। এরা সম্ভবত নার্স বা মেডিকেল স্টুডেন্ট। আমি দূরে থেকে তার ছবি তুলি। আরেক লেখকের কাছেও ভিড়। তিনি অনেক তরুণ, নাম ইমদাদুল হক মিলন। আমি বলি, আপনার একটা ছবি তুলি? মিলন পরেছেন জিন্সের প্যান্ট, পায়ে ক্যাডস, সাথে টি শার্ট। বলতেই তিনি চারিদিক নামক এক স্টলের সামনে দুই পা আড়াআড়ি করে বুকের কাছে হাত দুটো ভাঁজ করে, মাথা বাকিয়ে দাঁড়িয়ে যান। আমি দূর থেকে একটা তুলি, মুখের কাছে ক্যামেরা নিয়ে আরেকটা (পরের ছবিটা নিকটদূরত্বের কারণে ঘোলা হয়ে যায়)।

বর্ধমান হাউজে দেখি এক লোক বড় বড় লেখকদের চমৎকার পোর্টেটের এক্সিবিশন করছে। ছবির পাশে লেখকদের অটোগ্রাফও। ফটোগ্রাফারের নাম নাসির আলী মামুন। ছবিগুলো কেমন যেন। বেশিরভাগ অংশ কালো, ছায়া ভরা। অল্প অংশ সাদা। কিন্তু কী ব্যাঞ্জনাময়। আমার ইচ্ছা করে এ রকম ছবি তুলতে। কিন্তু এই অটোফোকাস ক্যামেরা দিয়ে ক্যামনে এ রকম ছবি তুলতে হয় আমি জানি না।

কিস্তি ৩. বুয়েটপরশ

এ সম্পর্কিত আরও খবর