সময়ের ঘষা লেগে ক্ষয়ে যাওয়া মন-কুঠুরীর তালায় কবে যেন জং ধরে যায়,
কোন মানে নেই জেনেও অনন্ত প্রতীক্ষার দৃষ্টি নিয়ে কোথাও কেউ আর করেনা অপেক্ষা
ধূলো ভরা মন আর পলেস্তরায় ডুবে যাওয়া স্মৃতির পাঠাগার থেকে উঠে আসে না কোন গল্প
হঠাৎ মাঝে মাঝে কোন পথ দেখে কিছু মনে পড়ে যায়, বড্ড আপন মনে হয়।
বাস্তববাদী সময়ের ক্রমশঃ বহমান দাবির হাওয়ায় খসে পড়ে শেষ পাতাটাও
চেনা পথের দু’ধারে ঘনায় জংলা ঘাস আর অনাদরে বেড়ে ওঠে অসংখ্য ফুল
মনে পড়ে না কবে, কোথায়, কে, কার জন্য হয়েছিল উতলা
দিনান্তের শেষ রেখাটুকু মুছে যাবার আগ মুহূর্তে রেখে গিয়েছিল তার স্মরণচিহ্ন ।
যাপিত জীবনের শোরগোলে আকণ্ঠ ডুবে যাওয়া মন কেবলই বুঁদ হয়ে থাকে প্রাপ্তির নেশায়
কালের নিঃশব্দ প্রস্থানে তাই শান্ত জলে লাগেনা কোন অস্থিরতা
ফেলে আসা পথে তাই আর কখনো ফেরা হয়না, দেখা হয়না আয়নায় আপন মুখ
স্মৃতির এলবামের বিষন্ন পাতাগূলো ক্রমশঃ বিবর্ণ হয়ে যায়।
তারপরও, এতসব হিসাব-নিকাশ শেষে, সময়ের কোলাহল ছাপিয়ে
কোন এক ক্লান্ত দুপুরে মনে পড়ে যায় ভুলে যাওয়া কোন প্রিয় সুর
অতীতের গহীন অরণ্যের প্রাচীর মাড়িয়ে হঠাৎ ঢুকে পড়ে অবাধ্য সূর্যরশ্মি
স্মৃতির যাদুঘরের চারপাশে শোনা যায় কাঁচ-দেয়ালের কান্না।
--- রাহনুমা খান কোয়েল (২৭ আগস্ট ২০২১)