আজ আমি একজন মায়াবতীর গল্প বলবো;
যে প্রতিদিন তার গভীর কালো চোখে আঁকে মমতার কাজল,
দীঘল চুল বেঁধে রাখে ভালোবাসার বিনুনীতে,
হাসিতে ছড়ায় উচ্ছাস আর অভিমানে হয় নীল,
আমি আজ সেই মায়াবতীর গল্প বলবো।
সে মায়াবতী এক যাদুকর!
তার চলার পথের ধূলো, আলো-বাতাস জানে সেই গল্প;
তারা জানে কেমন করে সে আগলে রাখে আমায় মমতার বাঁধনে;
কেমন করে সে দূরদেশে থেকেও হৃদয়ের সবচেয়ে কাছে থাকে;
কেমন করে সে ঝড়-বৃষ্টিতে ধরে রাখে হাত;
কেমন করে সে ভোলায় আমার সকল ব্যর্থতা;
সে মায়াবতী! সে যাদুকর! সে আমার আত্মজা।
সে এখন অনেক দূরদেশের বাসিন্দা;
সাত-সমুদ্র পেড়িয়ে তার সাক্ষাত পাওয়ার অপেক্ষায় থাকি;
চাইলেও আর আমি তার কাছে যেতে পারিনা,
পারিনা তার নরম গালে আদর খেতে,
বলতে পারিনা আবোল তাবোল আমার যত কথা,
শোনাতে পারিনা তাকে নিয়ে আমার এই অর্থহীন কবিতা,
সে এখন অনেক দূরদেশের বাসিন্দা।
মায়াবতীরা কি এমনই হয়?
চোখের কোণের অনেক বাইরে থাকে-
হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়না তাদের?
মনের ঘরে সকল সময় ঘুরে-বেড়ায়, কিন্তু পাশে এসে বসেনা।
শুধু আশা জাগিয়ে রাখে হৃদয়ে;
আশা আবার দেখা হবার কোন এক ফাল্গুনের ভোরে।
আমি জানি দেখা হবে কোন একদিন তার সাথে,
যেদিন আমি মায়াবতীকে আমার অপেক্ষার কথা বলবো,
আমার কান্নার কথা বলবো,
বলবো আমার আশার কথা।
সেদিন যত ফুল ফুঁটবে তারা জানবে আমার অপেক্ষার কথা,
সেদিন যত পাখি গাইবে তার শুনবে আমার ভালবাসার কথা।
আজ আমি সেই মায়াবতীর গল্প বলবো,
যার ছোঁয়ার প্রজাপতির পাখায় লাগে রং,
পূবের আকাশে দেখা যায় নতুন দিনের ইঙ্গিত,
সন্ধ্যাক্ষণে ভেসে বেড়ায় সোনালি বিষন্নতা;
রাতের গভীরে শোনা যায় এক মায়ের দীর্ঘশ্বাস।