শুভ জন্মদিন বাবা!
কেমন আছো তুমি?
খুব আনন্দ করছ বুঝি আজ?
করবেই তো- আজ তোমার দিন।
আচ্ছা বাবা, তোমার দেশ কি খুব সুন্দর?
সেখানে কি জন্মদিনে খুব আনন্দ করো তোমরা?
তোমার কি অনেক বন্ধু?
কতকিছু জানতে ইচ্ছা করে বাবা!
তোমার দেশে কি অনেক ধুমধাম করে জন্মদিনের উৎসব হয়?
কেক, বেলুন এসব থাকে?
সারপ্রাইজ উপহার?
তোমার পছন্দের ফতুয়া কেউ উপহার দেয় তোমায়?
কেউ কি জড়িয়ে ধরে ‘শুভ জন্মদিন’ বলে?
এত প্রশ্ন কেন যে আসে মনে বাবা?
উত্তর পাইনা, তাও প্রশ্নের কমতি নাই।
আমি এখন বুঝে গেছি বাবা,
তোমার দেশে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ হয়।
তাই তুমি আমার কথা ভুলে গেছ।
তাই তুমি স্বপ্নেও আসো না।
একটা কথা বলি বাবা? রাগ করোনা।
তোমার দেশকে আমি একটুও পছন্দ করিনা। একদমই না।
সে দেশ যতই সুন্দর হোক, যতই আনন্দময় হোক,
আমি তোমার দেশ কে ভালবাসিনা বাবা।
যে দেশ আমার বাবাকে নেয়ে গেছে -
তাকে কি করে ভালবাসা যায় বলো?
যে দেশ আমার বাবাকে ভুলিয়ে রাখে-
তাকে কি করে ক্ষমা করি?
হয়তো যেদিন আমিও সেই দেশে যাব
সেদিন ভালবাসতে পারব তোমার দেশ।
সে পর্যন্ত,
খুব ভাল থেক বাবা ! আনন্দে থেক।
তোমার সেই ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে ভরিয়ে রেখ তোমার দেশ।
ভালবাসি বাবা।