পটুয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাস রুম কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এটি ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রকল্পের উদ্যোক্তা পটুয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি জানান, ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাস রুম প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের আসন বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ‘এল’ এবং ‘ইউ’ভাবে বসানো হচ্ছে। ক্লাসরুমে বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করা হচ্ছে, বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের পাঁচটি ক্লাসরুমে স্মার্ট টিভি ও আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাসরুমে বুকশেলফ রাখা হচ্ছে এবং এসব সেলফে চল্লিশটি করে সহায়ক গ্রন্থ রাখা হচ্ছে। ক্লাসরুম গুলোতে দেয়াল ঘড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের পাঠদানের জন্য অভিন্ন রুটিন এবং একই লেসন প্ল্যান রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলাফল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে। প্রতি তিন মাস অন্তর এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে বেস্ট শিক্ষক, ছাত্র এবং গ্রুপ বাছাই করে পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের জন্য একই ধরনের পোশাক চালু করা হয়েছে।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার আরো জানান, এর ফলে শিক্ষার্থীরা এখন ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই উদ্যোগের ফলে বিদ্যালয়গুলোতে একটি আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। যে কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসমুখী হচ্ছে এবং পাঠদান আনন্দদায়ক হচ্ছে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবির জানান সদর উপজেলার মোট ১৫টি বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এর মধ্যে আছে বদরপুর শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি বিদ্যানিকেতন লাউকাঠি, লোহালিয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফজলুল করিম মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধরান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বাদুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খাসেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হেতালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিঘাই হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেহাকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উঃ সেহাকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লতিফ মিউনিসিপাল সেমিনারি।
স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা অর্থ দিয়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে সদর উপজেলা প্রশাসন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি সফল হলে সারা বাংলাদেশেই শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।