মাত্র দুই বছর বয়সে পিতৃহারা হন বিলকিস আক্তার। এক ভাই ও মা বিবি হাজেরাকে নিয়ে তাদের সংসার। এতিম দুই ভাই-বোনের ভরণ-পোষণ যোগাতে মানুষের বাড়িতে কাজ করতো মা হাজেরা। কিশোর বয়স থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে মায়ের পাশাপাশি সংসারের হাল ধরেন বড় ভাই নূর নবী। কোনোমতে চলে তাদের সংসার। এরমধ্যে বিয়ে উপযুক্ত হয় বিলকিস আক্তার। কিন্তু টাকার অভাবে মা ও ভাইয়ের পক্ষে বিয়ের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছিল না। আর এই সময় তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। দায়িত্ব নিলেন বিলকিসের বিয়ের।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের পূর্ব দেবীপুর গ্রামের বাড়িতে বিলকিসের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । আর সেখানেই কথা হয় বিলকিসের বড় ভাই নূর নবীর সঙ্গে।
নূর নবী জানান, আমি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তানিয়া আলমগীরের কাছে কৃতজ্ঞ। উনার সহযোগিতায় চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর গ্রামের তোফায়েল আহমদের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেনের সাথে আমার বোনের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও বিয়ের সকল আয়োজনে উনারা সার্বক্ষণিক আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তানিয়া আলমগীর জানান, পুনাকের আয়োজনে মেলাসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের লভ্যাংশ অসহায়, দুঃস্থ, এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। পুনাকের এমন কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি এবং পুনাকের সহ-সভাপতি আয়েশা বেগম উপস্থিত ছিলেন। সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. নবীর হোসেনের বিয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করেন।