বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা চীন থেকে আসা ইমরানের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কিনা- তা পরীক্ষা করতে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে আসা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের ৩ জনের একটি দল এ নমুনা সংগ্রহ করে।
দুপুরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বরগুনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ন শাহিন জানান, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্দেশে চীন থেকে আসা ইমরানকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে এবং এবং তার নাক থেকে নেজোফ্রিনজেল সোয়াফট ও গলা থেকে সোয়াফট সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তাই কেউ যাতে আতঙ্কিত না হয় এবং গুজব না ছড়ায় সেদিকে সচেতন হতেও আহবান জানান তিনি।
ইমরানসহ বরগুনা জেলায় চীন থেকে ৪ জন এসেছেন। অন্যদের জ্বর বা কোনো উপসর্গ দেখা না দেওয়ায় তাদের নিজ বাড়িতে রেখে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নজরদারিতে রেখেছে।
বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে বৃত্তি পেয়ে তিন মাস আগে পড়াশোনার জন্য চীন গিয়েছিল ইমরান। তিনি শানডং প্রদেশের রিজাউ শানডং ইউনিভার্সিটিতে পড়ছিলেন। এর পর চীনে করনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে পরে সে শহর থেকে ৩৬ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমণ করে আসেন এয়ারপোর্টে।
এরপর ইমরানকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চীনের গুরাংজু এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে তিনি রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে বাড়িতে আসেন। এরপর তার জ্বর আসে হালকা। পরে বরগুনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।