তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বারবার সুন্দরবন রক্ষাকবচ হয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাঁচিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ভবিষ্যতে দেশকে রক্ষার জন্য উপকূলে যখন আরও বেশি বনায়নের প্রয়োজন, তখন প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস করে সরকার সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, রামপাল বিরোধী আন্দোলন আজ বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণেও বহু মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। রামপাল-রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের স্বার্থে না, বিদেশিদের স্বার্থে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নাটোর শহরের ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নাটোর জেলা কমিটির আয়োজনে ‘সুন্দরবনের রামপাল ও রূপপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্র জনস্বার্থ রক্ষা করবে কি?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, সুন্দরবনকে বাঁচতে দেয়া হচ্ছে না। সরকার বলে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারিগরি সহায়তা ভারতের। ভারতেরই যদি হয়, তবে ভারত এই প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্প কেন নিজেদের মাটিতে করছে না? ভারত নিজেরা এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। চীন, ভারত এবং রুশপন্থীরা আমাদের উপকূলীয় এলাকা ধ্বংসে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বাদলের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়ক দেবাশীষ কুমারের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা চন্দন সিদ্ধান্ত, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি আনছার আলী দুলাল, নাট্যকর্মী সুখময় রায় বিপলু প্রমুখ।