নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরসহ (এপিপি) দুই আইনজীবীকে শোকজ করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জেলা অ্যাডভোকেট সমিতির বিশেষ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দুই আইনজীবী হলেন- এপিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের আজাদ।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল হাসান শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নারী সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির অভিযোগে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদও প্রচার হয়েছে। তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে হবিগঞ্জ জেলা অ্যাডভোকেট সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এ কারণে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী তাদের শোকজ করা হয়।’
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় তলায় সরকার কর্তৃক বরাদ্দ এপিপির কক্ষে দরজা বন্ধ করা অবস্থায় এক নারীর সঙ্গে পাওয়া যায় অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে। বিষয়টি জানাজানি হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হুদা চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওসি (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদ শহরের মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার সন্ধ্যায় উপ পরিদর্শক (এসআই) খুরশেদ আলী বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে ৭ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন বৃন্দাবন কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির এক ছাত্রী। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন- দীর্ঘদিনের প্রেমের সুবাদে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর পুরান পৌরসভা রোডের একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করেন তারা দুইজনে। ২০১৭ সালের ২০ মার্চ আবারও দুইজনে সিলেটের একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে আবুল খায়েরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ ঘটনায় কৌশলে অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের আজাদ ওই ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটান। পরে বিয়ের আশ্বাস দিলেও আবুল খায়ের ওই ছাত্রীকে বিয়ের করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে গত ৭ জানুয়ারি ওই ছাত্রী আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।