ঘন কুয়াশার কারণে আড়াই ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। এদিকে দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব ইজতেমা ও ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়ার ওরস ফেরত মুসল্লিদের বহনকৃত বাসের চাপের কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়িগুলো নদী পার করছে ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের নদী পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে সড়কেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অপেক্ষা করছে প্রায় তিন শতাধিক বাস। এরমধ্যে দ্বিতীয় দফার বিশ্ব ইজতেমা ও ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়ার ওরস ফেরত মুসল্লিদের বহনকৃত বাসই বেশি। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন সিরিয়াল অনুযায়ী নদী পার করছে যানবাহনগুলোকে।
অপরদিকে গোয়ালন্দ মোড় হতে রাজবাড়ীমুখী দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক আরাফাত রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখানে কারো করার কিছু নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আর ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে আমাদেরকে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এখানে সিরিয়াল অনুযায়ী যে আগে এসেছে সে আগে নদী পার হতে পারছে। কোনো নয়-ছয় হচ্ছেনা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে বেশ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এবং ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীবাহী বাসের চাপের কারণে কিছুটা যানজট হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ঘাট স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
দৌলতদিয়া-পাথুরিয়া নৌরুটে ৮টি রো-রো ফেরিসহ মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করছে বলেও বার্তা২৪.কমকে জানান এই কর্মকর্তা।