বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে আস্থা নেই। কারণ তারা যে সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে তা সকলেরই জানা। এই কমিশন ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের আয়োজন করেছে। আসলে তারা নির্বাচনের আয়োজন করেনি তারা আবারও জাতির সঙ্গে তামাশা করতে চায়। আর সেই আয়োজনই চলছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের নবগঠিত পৌর আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু বলেন, নির্বাচনের ফলাফলতো পূর্বনির্ধারিত। তাই এটাকে নির্বাচন কমিশনের তামাশার আয়োজনই বলতে হবে। কারণ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কিছুইতো আমরা দেখতে পাচ্ছি না। পদে পদে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই কমিশন আওয়ামী লীগকে সকল নির্বাচনে জেতানোর দায়িত্ব নিয়েছে। দেশে যে নির্বাচনই হোক না কেন, যে কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগকে জেতাতেই হবে। এর জন্য যা করা দরকার। তারা তাই করতে রাজি।
দুলু বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চুরি করা যায়। আর সেজন্য এই নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগকে জেতাতেই তাদের এ আয়োজন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে-নিঃশব্দে ভোট চুরির ডিজিটাল প্রকল্প ইভিএম ছাড়া আওয়ামী লীগের জয়লাভ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা ইভিএমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি কারণ নির্বাচনের ফলাফল কী হবে সেটা নির্ভর করবে ইভিএমের প্রোগ্রামের ওপর। সম্প্রতি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ইভিএমে দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ।
দুলু বলেন, জনগণের এখন আর ভোটের প্রতি আস্থা নেই। আর এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সিটি নির্বাচন নয়, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার দিলেই ভোটের প্রতি জনআস্থা ফিরবে। এছাড়া কোনো নির্বাচনেই জনআকাঙ্খার প্রতিফল হবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ কিন্তু সরকার এই সত্যটিকে গোপন করছে। তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে।
দুলু বলেন, আইনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। কারণ এই সরকার রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে করায়াত্ত করে ফেলেছে। তাই তাকে মুক্ত করে আনতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আর সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
নাটোর পৌর বিএনপির আহবায়ক সাবেক মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, পৌর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান বাবুল চৌধুরীসহ ছাত্র ও যুবদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।