বাঙালি সংস্কৃতিতে বারো মাসের তের পার্বণের একটি পৌষ সংক্রান্তি। বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এদিন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে বাঙালিরা।
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে পৌষ পার্বণ পিঠা মেলা। জেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ মেলার উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে আর পৌষ সংক্রান্তি পালন করার জন্যই এ আয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে তারা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকন পিঠা, ফুল পিঠা, দুধ পুলি পিঠা, পাকান পিঠা, চন্দ্র পুলি পিঠা আরও কত নাম। মেলায় প্রায় ৫০ রকমের পিঠা ছিলো। পৌষের কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে শিশু-কিশোর ও হাজারো নারী-পুরুষ মেলায় উপস্থিত হন।
শহরের কলাবাগান থেকে আসা সাংস্কৃতিক কর্মী নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। শহুরে জীবনে এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন প্রতিনিয়ত করা উচিত। তবেই আমরা বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো।
হামদহ থেকে আসা আহমেদ আলী নামের একজন বলেন, পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্য বলা যায়। বাসায়তো আর সব ধরনের পিঠা তৈরি করা যায় না। এখানে এসে সব পিঠাই পেলাম। বেশ ভালো লাগছে।