ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের একটি সড়কের বেহাল দশাকে ঘিরে দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। রাজীবপুর বাজার থেকে লাটিয়ামারী পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কটির পিচঢালাই উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মাইক্রোবাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের লাটিয়ামারী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান উৎসবে নদের লাটিয়ামারী ঘাটে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। এজন্য রাজীবপুর বাজার থেকে লাটিয়ামারী পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজিবপুর বাজার থেকে লাটিয়ামারী পর্যন্ত সড়কের পিচ ও ইটের খোয়া উঠে মাটিতে গর্ত হয়ে গেছে। সরে গেছে দুই পাশের মাটিসহ কার্পেটিং। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গাচোরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসহ যানবাহন চালকদের।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) আড়াই কিলোমিটার ওই সড়কের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। একজন ঠিকাদার সড়কটির নির্মাণকাজ পান। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটির নির্মাণকাজ করেনি। ওই অবস্থায় রাস্তার কাজটি বাতিল হয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, সড়কটিতে বড় বড় খানাখন্দ হওয়ায় প্রতিনিয়ত গর্তের মধ্যে পড়ে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার ভয়ে যাত্রীরাও গাড়িতে উঠতে চাইছে না। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে আগামীতে এ সড়কে যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে।
রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুদাব্বিরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলার সবজি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত রাজীবপুরের প্রায় কয়েক গ্রামের মানুষ সড়কটি দিয়ে তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে আসেন। পাইকাররা গাড়ি বোঝাই করে উৎপাদিত সবজি নিয়ে যান বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু সড়কটি বেহাল থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে বহুবার বলা হলেও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
এলজিইডি উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য একবার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার কাজ না করায় তা বাতিল হয়ে যায়। ফের সড়কটির সংস্কারের জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হবে।