দেশ স্বাধীন করতে মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান, তা কোনো প্রতিদানেই তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা কোনোদিন বাতিল হবে না। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখনও বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্বাস করে না। তাই স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনের কথা বলতে হয়। তবে বিশ্বাস-অবিশ্বাস তাদের ব্যাপার, কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করার ধৃষ্টতা দেখালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর সকাল আটটায় শহরের গোয়ালচামটস্থ স্মৃতিস্তম্ভে সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্মৃতিস্তম্ভ থেকে একটি র্যালি বের হয়। শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে গণকবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে র্যালিটি শেষ হয়।
সকাল ৯টায় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সংবর্ধনা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১১ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিববারকে ও ৭ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক পরিবারকে সম্মান জানানো হয়। এছাড়া দুপুরে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় কবি জসিম উদদীন হলে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা, বিজয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জেলা শিল্পকলা কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকালে ও সন্ধ্যায় দু’টি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আব্দুর রশিদ, পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, যুদ্ধকালীন কমান্ডার কবিরুল আলম মাও, গুলজার হোসেন, আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ এইচ এম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম লেভী, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান ও ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।