লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সোহাগ মুছল্লি (২৮) নামে এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের ইরানী বোরকা হাউজ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে মরদেহের পাশ থেকে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ লেখা থাকা একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সোহাগ ওই দোকানের মালিক ও রামগঞ্জ পৌরসভার জগৎপুর এলাকার আবদুর রব মুছল্লির ছেলে।
এ বিষয়ে মার্কেট ব্যবসায়ীরা জানায়, ব্যবসা করার জন্য ব্যাংকসহ কয়েকটি এনজিও থেকে সোহাগ অন্তত ১০-১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। কিন্তু ঋণের টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছিল না। বুধবার সকালেও ৫০ হাজার টাকার একটি কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল। টাকা পরিশোধের ভাবনায় সোহাগ আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় একটি মাজার শরীফে অনুষ্ঠিত ওরশে যাওয়ার জন্য সোহাগ ঘর থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে দোকানের কর্মচারী আকরাম হোসেন এসে দোকানের সার্টার খোলে। এসময় সে দোকানের ফ্যানের সঙ্গে সোহাগকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেয়। পরে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজন ও রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হানিফ পাটোয়ারী বলেন, 'ব্যবসার জন্য কয়েকটি এনজিও থেকে সোহাগ ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। শুনেছি আজও কেউ একজনকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে টাকা দিতে পারবে না চিন্তা থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে।'
এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঋণের বিষয়টি শুনেছি। তবে সত্য কিনা জানা যায়নি। নিহতের পাশ থেকে 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়' লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। আর ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।