দেশের বাজারে কয়েক মাস ধরেই পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। এর মধ্যে গেল সপ্তাহে কিছুটা দাম কমলেও চলতি সপ্তাহে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। কবে কমবে এই পেঁয়াজের দাম এমনি প্রশ্ন সকলের। এদিকে পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার গোবিন্দনগর আড়তে গেলে এমনি চিত্র চোখে পড়ে।
জানা যায়, গত দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২১৫ টাকা কেজিতে। অপরদিকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ দু’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০৫ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে।
আড়ত ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, আজকে বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২১৫ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে বাজারে পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় কমছে না দাম।
ঠাকুরগাঁও আড়তের পেঁয়াজ আমদানিকারক উজ্জল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, কিছুদিন পূর্বেও প্রতিদিন বাজারে পেঁয়াজের গাড়ি আসতো ৮/১০টা। বর্তমানে পেঁয়াজের গাড়ি আসছে ১/২টা তাও আবার হাফ লোড অবস্থায়। এদিকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বাজারে আসলেও সেটা বাংলাদেশের পেঁয়াজের তুলনায় অনেকটাই বেশি দাম। এই অবস্থা থাকলে কখনো বাজার নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব নয়।
আড়তে বাজার করতে আসা ক্রেতা আলী আকবর জানান, ৪/৫ দিন আগেও ১৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ ২১০ থেকে ২১৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। দেশটিতে পেঁয়াজের অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০/৪০ টাকার পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হয়ে যায়।