আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করে আদেশ দেন ।
আগামী ২৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন নির্ধারণ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এদিকে জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হাজিরা দেন আদালতে।
আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মো. হাসান এবং মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, কামরুল ইসলাম সাইমুন, এবং মো. সাগর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার আবেদন করেন। পরে আদালতে তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, সকাল ৯টায় আদালতে হাজির করা হয় প্রাপ্ত বয়স্কদের চার্জশিটে থাকা ৮ আসামিকে। আর মিন্নি জামিনে থাকায় সেও হাজির হয় আদালতে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত ও হাসান বন্ডের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। তবে তিন জনেরই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে সাগর ও টিকটক হৃদয়ের বিএ পরীক্ষা এবং মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাতের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। পরে তাদের এই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন আদালত।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন।
গত ৬ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র বিচারের জন্য প্রস্তুত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত ২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; এ দু ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।