ফরিদপুরে একমাত্র শিশু সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন স্ত্রী স্বপ্না আক্তার।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের চর চাঁদপুর গ্রামের মকদুম মুন্সীর ডাঙ্গি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সদরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৃত শিশুটির নাম রহমত প্রামাণিক। তার বয়স দুই বছর চার মাস। সে ওই গ্রামের হালিম প্রামাণিকের (২২) ছেলে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে হালিম প্রামাণিক পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের চর চাঁদপুর গ্রামের মকদুম মুন্সীর ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা রিকশা চালক শুকুর প্রামাণিকের ছেলে হানিফের সঙ্গে স্বপ্না আক্তারের বিয়ে হয়। স্বপ্না পাশের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গি ইউনিয়নের পোড়াদাহ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শেখ শামসুরের মেয়ে। হানিফ ঢাকায় লেগুনা চালিয়ে সংসার চালাতেন। তবে গত তিন মাস ধরে বেকার অবস্থায় এলাকায় ছিলেন তিনি।
শিশুটির মা স্বপ্না আক্তার জানান, কিছু দিন আগে সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে হানিফের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। এ নিয়ে পারিবারিক ঝগড়াও চলছিল।
স্বপ্না আরও জানান, গতকাল শুক্রবার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসেন তিনি। এরপর স্বামীর সঙ্গে ফের ঝগড়া হয় তার। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সন্তান রহমতকে নিয়ে ঘুমাতে যান স্বপ্না। রাত ৯টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখতে পান রহমত বিছানায় নেই।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ মিটার দূরে ওই গ্রামের একটি ধানখেতে রহমতের লাশ দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সদরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, হানিফ তার সন্তানকে হত্যা করেছেন এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে। হানিফের স্ত্রী স্বপ্না এই মামলা করেছেন। হানিফকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।