রেলের দুর্ঘটনার মাধ্যমে আর যেন কারো প্রাণ না যায় সেজন্য যথাসাধ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেশপুর বারঘরিয়া গ্রামে রংপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র নিহত আপেল মাহমুদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই পরিবারকে এক লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। কারণ আমরা এই পরিবারটির সঙ্গে আছি। তাদের কষ্টে শরিক হওয়ার জন্য এই অর্থ দেওয়া। ক্ষতিপূরণের জন্য এই অর্থ নয়। সেই সঙ্গে কোনো মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র। অপরদিকে এই দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী আর কারা দায়ী নয় সে বিষয়টি উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।'
এ সময় মন্ত্রী নিহত আপেলের পরিবারের একজন সদস্যকে রেলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেল ম্যানেজার শফিকুর রহমান, নিরাপত্তা কমান্ড্যান্ট মিজানুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড.মোস্তাক আলম টুলু, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নাজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় ট্রেনের বগি ঘোরানোর সময় গাইবান্ধা কমিউনিটি নাসিং কলেজের ছাত্র আপেল মাহমুদ চাপা পড়ে মারা যায়। আপেল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর গ্রামের দিনমজুর আমিরুল ইসলামের ছেলে। সে ডিপ্লোমা ইন নাসিং বিষয়ে পড়াশোনা করছিল। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সে দুর্ঘটনায় মারা যায়।