গ্রামেগঞ্জে ঘুরে ঘুরে আচার বিক্রি করেন। তার বিনিময়ে নেন পুরনো টিন, লোহা, জুতা ও প্লাস্টিকের বোতল। সংগৃহীত এসব অব্যবহৃত বা পুরাতন জিনিস ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে সংসার চালান ৭০ বছরের বৃদ্ধ মো. আবদার আলী।
তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর বড়াইবাড়ী গ্রামে। নিজের কোনো আবাদি জমি না থাকায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাঁশের ঝুড়ি (গ্রামে ভাড় ডালি নামে পরিচিত) কাঁধে নিয়ে গ্রামে গ্রামে আচার বিক্রি করেন। সাত সদস্যের পরিবার চালানোর জন্য তার একমাত্র উপার্জন উৎসই এটি। সারাদিন ঘুরে তার দৈনিক আয় হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। বৃদ্ধ বয়সে তার সামান্য আয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে কথা হয় আবদার আলীর। তিনি বলেন, ‘আমি সারাদিন ভাড় ডালি কাঁধে বহন করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে আচার দিয়ে পুরাতন জিনিসপত্র সংগ্রহ করি। সেগুলো ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চালিয়ে আসছি। আমি খুবই কষ্টে আছি বাবা। আমি আর পারছি না। আমাকে যদি কেউ একটু সহযোগিতা করতো, তাহলে আমি অনেক উপকৃত হতাম।’
বৃদ্ধ আবদার আলীর বিষয়ে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাঈদুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি সরকারি কোনো প্রকার বরাদ্দ পেলে উনাকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’