মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। গত চব্বিশ ঘণ্টায় এখানে পাঁচজন নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফলে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি থাকছেন গাংনী হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, জনসচেতনতার অভাব এবং কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় এ উপজেলায় এডিস মশা ছড়িয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত মেহেরপুর জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২০ জন। এদের মধ্যে গাংনী উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ১৫৩ জন।
গাংনী হাসপাতালে ভর্তি হিজলবাড়ীয়া গ্রামের ফরজ আলী জানান, ডেঙ্গু কীভাবে ছড়ায় আর ডেঙ্গুর অস্তিত্ব সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।
হিন্দা গ্রামের দিনমজুর আশিকুল ইসলাম জানান, রাতে মশারি টানান না, কয়েলও ব্যবহার করেন না। তবে ফ্যান চলে বলে মশা কম লাগে।
এদিকে, রোগীর চাপে হাসপাতালের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর পাশে অন্য রোগীরা আতঙ্কে সময় পার করছেন। আর রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিডি দাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'দুটি ওয়ার্ডে ৩২টি বেড। বেডগুলোতে অর্ধেকের বেশি ডেঙ্গু রোগী। তাহলে অন্য রোগী কীভাবে চিকিৎসা দেব? সব সময় ডেঙ্গু রোগীদের দিকে নজর রাখতে হয়। দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও জনসচেতনতার অভাবে এডিস মশা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।'
এদিকে রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি গবেষণা দল গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নিয়ে গেছেন। নমুনা পরীক্ষা করে এডিস সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবে দলটি। এরপর ডেঙ্গু রোগের বিস্তার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাবে।