কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর দেখা মেলে হাটে। তবে ক্রেতাদের দেশি গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি। ক্রেতারা বলছেন গত বছরের চেয়ে এ বছর দাম বেড়েছে কিছুটা।
সূত্রে জানা যায়, এ বছর ভৈরব উপজেলায় ৮৪টি গ্রামের প্রায় ৩০০ খামারের মাধ্যমে ১১ হাজার গরু পালন করা হয়। এবার ৪টি বড় হাট, অস্থায়ী আরও ১০টি হাটে গরু কেনাবেচা হবে। হাটে দেশি গরু ৬০ শতাংশ, বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় গরু ও মহিষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ সপ্তাহ থেকে উপজেলার শিমুলকান্দিতে গরুর হাট জমতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগ পর্যন্ত গরুর হাট জমজমাট থাকবে। বিভিন্ন জেলা থেকেও ক্রেতারা গরু কিনতে আসছেন এই হাটে।
এদিকে ভৈরব উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পশুর হাটে সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। পশুর হাটে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট। পুলিশের নজরদারিও চলছে গরুর হাটে।
বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, গতবারের তুলনায় গরুর দাম অনেক বেশি। মহিষের দামও কম না। বাজেট অনুযায়ী গরু পছন্দ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বাজেট থেকে অনেক বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে।
গরু কিনতে আসা ভৈরবপুর এলাকার আলাল মিয়া জানান, বাজারে অনেক গরু উঠেছে। আজ গরু দেখতে এসেছি। আরও চার দিন ভৈরবে হাট আছে পরে দেখে গরু কিনবো।
গরু বিক্রেতা মাইনুল ইসলাম জানান, আমি সব দেশি গরু নিয়ে এসেছি। প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করেছি। দেশি গরু লালন পালনে খরচ হয়েছে অনেক বেশি। সেই হিসেবে দাম পাচ্ছি না। ক্রেতারা দেশি গরু কম দামে চান। কিন্তু দেশি গরু লালন-পালনে খরচ অনেক বেশি।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, এ বছর ভৈরবের গরুর হাট গুলোতে আমাদের টিম কাজ করছে। ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।