মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের মান্না মিয়া। পরম যত্নে দুই বছর ধরে পালন করছেন একটি ছাগল। বিদেশি জাতের এই ছাগলটির দর উঠেছে ৯০ হাজার টাকা। লাখ টাকা হলেই তিনি ছাগলটি বিক্রি করবেন।
বুধবার (০৭ জুলাই) মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ছাগল হাটে মান্না মিয়ার ছাগল ঘিরেই ছিল যতো আলোচনা।
মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান বারাদী ছাগল হাট যেখানে প্রতি সপ্তাহের শনি ও বুধবার হাট বসে। চলতি সপ্তাহ থেকে এখানে কোরবানির ছাগল কেনাবেচায় ছিল জমজমাট অবস্থা।
লাখ টাকার ছাগল মালিক মান্নান বলেন, আমি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছি। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম দিয়েছেন। এক লাখ টাকা না হলে বিক্রি করবো না। ছাগলটির আনুমানিক মাংস ধরা হয়েছে ৬৫-৭০ কেজি।
বুধবার (৭ আগস্ট) সরেজমিনে হাট ঘুরে জানা যায়, এ মৌসুমে আজই হাটে সবচেয়ে বেশি ছাগল উঠেছে। বেচাকেনাও সর্বোচ্চ। দর স্বাভাবিক রয়েছে তাই কেনাবেচায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের ছাগল ব্যাপারী লিটন হোসেন বলেন, একশোটির উপরে ছাগল কিনবো। ৯০টি কেনা হয়েছে। চেষ্টা করছি আরও কেনার। ছাগলগুলো চট্রগ্রামে পাঠানো হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি মাংস ৭০০-৮০০ টাকা অনুমানে বেচাকেনা চলছে। তবে ক্রেতাদের পছন্দের সঙ্গে অনেক সময় এ অনুমান নির্ভর করে না। দুয়েক হাজার টাকা কমবেশিতে পছন্দের ছাগলটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পশু কোরবানিতে আগ্রহী ক্রেতারা।
বারাদী ছাগল হাট ইজারাদার রফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের হাটগুলোতে ছাগল বেচাকেনা গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। আজকের হাটে প্রায় ৫ হাজার ছাগল কেনাবেচা হয়েছে। আগামী শনিবার (১০ আগস্ট) কোরবানির শেষ হাটে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।