আজ মঙ্গলবার ২২ শে শ্রাবণ (৬ আগস্ট)। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম মহাপ্রয়াণ দিবস। কবির এই প্রয়াণ দিবসে নীরব নিথর তাঁর স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়ি।
অথচ বিশ্বকবির স্মৃতিধন্য কুঠিবাড়িতে প্রতিবছর জন্মজয়ন্তী উৎসব মহা ধুমধামে উদযাপন করা হয়। কিন্তু প্রয়াণ দিবসে তেমন কোনো আয়াজন না থাকায় মর্মাহত রবীন্দ্রপ্রেমী ও রবীন্দ্র গবেষকরা। জন্মবার্ষিকীর মতো মৃত্যুবার্ষিকীও পালনের দাবি ভক্তদের।
শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আসা রাসেল কবির নামের এক দর্শনার্থী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘কুঠিবাড়িতে এসে হতাশ হয়েছি। বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস, অথচ এতা বড় কুঠিবাড়ির আঙ্গিনার একপাশে বকুলতলায় ছোট এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে দেখে মর্মাহত হয়েছি।’
রবীন্দ্র সম্মিলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ আজও সুশীল সমাজের কবি হয়ে রয়েছেন। এই ধারা ভেঙে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কবির মিলন ঘটাতে হবে। তার জন্মজয়ন্তীতে যেমন বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তেমনিভাবে প্রয়াণ দিবসেও সেরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিকে স্মরণ করা উচিৎ।’
তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আয়োজনে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির বকুলতলায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে বলে জানান কুঠিবাড়ির কাস্টডিয়ান মখলেসুর রহমান।
প্রসঙ্গত, কবিগুরু’র জীবনে এক উজ্জ্বল অধ্যায় শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে। কলকাতার ইট পাথরের দেওয়ালে বন্দী রবীন্দ্রনাথ পদ্মা-গড়াই বিধৌত শিলাইদহে এসে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলেন। তাঁর সাহিত্য ভাণ্ডারের অনেকটায় তিনি রচনা করেন এই শিলাইদহে বসে।