মেহেরপুরে ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৪জন ঢাকা থেকে এসেছেন এবং অপর দুইজন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে এই ৬ ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করা হয়।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়েছে। তাদেরকে মেহেরপুর ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীরা হলেন- মেহেরপুর শহরের কোর্টপাড়ার মান্নান মিয়ার ছেলে উৎস (২১), ঢাকাতে পড়াশুনা করে। মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের সামছদ্দিন আলীর ছেলে হৃদয় খান (১৮), মহাখালীতে চাকুরী করে। গাংনী উপজেলার কাথুলী গ্রামের জিন্নত আলীর মেয়ে জান্নাতুন খাতুন(১৭), এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করে ঢাকাতে কোচিং করছে। এরা তিনজন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পাড়ার হোসেন আলীর স্ত্রী উম্বিয়া খাতুন (৩৫), চৌগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নাছিমা খাতুন (৫৫) ও কসবা গ্রামের বাসিন্দা ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুফিয়া খাতুনকে (৪৮) গাংনী হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ইউপি সদস্য সুফিয়া খাতুন জানান, গত ২৬ জুলাই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে এক রোগীকে দেখতে এসেছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তার জ্বর শুরু হয়। বুধবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা রিপোর্টে ডেঙ্গু পজিটিভ।
এদিকে প্রথম দিন ভর্তি হওয়া উম্বিয়া খাতুন ও আজ ভর্তি হওয়া নাছিমা খাতুন গাংনীতেই থাকেন। তাই গাংনীতে এডিস মশা রয়েছে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মেহেরপুর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাঃ শামিম আরা নাজনীন জানান, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই আবার এটি এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা, প্রশাসন, রাজনীতিক, সাংবাদিকসহ ও জনগণ সকলে মিলে যদি এ ব্যাপারে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব।
একইসঙ্গে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার স্ট্রিপ স্বল্পতার কথা জানান হাসপাতাল কতৃপক্ষ। একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বল্প স্ট্রিপ থাকলেও তা ফুরিয়ে যাবে দুয়েক দিনের মধ্যে বলে জানানো হয়।