গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অব্যাহতভাবে বাড়ছে তিস্তা, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। বন্যার পানিতে ডুবে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অব্যাহতভাবে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি ৯৪ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার ৩৪ ইউনিয়নের ২৪৯ গ্রামের প্রায় ১ লাখ পরিবারের সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ১৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে প্রায় ৬১ হাজার বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার প্রায় ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, ৪০ কিলোমিটার বাঁধ ও ১১টি ব্রিজ-কালভার্ড ভেঙে গেছে। সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসলহানি হয়েছে।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলা শহরও প্লাবিত হয়েছে। শহরের পিকে বিশ্বাস রোডের ডিসি, এসপি ও দায়রা জজের বাসভবনে হাঁটুপানি জমেছে। শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা শহর। ত্রিমোহনি ও বাদিয়াখালি রেলরাইনে পানি ওঠায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। জরুরি কাজে বিকল্প সড়ক বা ঝুঁকিপুর্ণ সড়কেই পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন মানুষজন।
জেলা শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) রোখসানা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধের মেরামত কাজ চলছে। বন্যা দুর্গতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৭৫টি মেডিকেল টিম তৎপর রয়েছে।