পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে হামলার নাটক সাজিয়েছিলেন এক চিকিৎসক নিজেই। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গত ২৮ জুন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দিনে দুপুরে বাসায় ঢুকে মনিরুল কবির শাওন নামে এক চিকিৎসককে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে। অবশেষে এর জট খুলেছে।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস. এম তানভীর আরাফাত। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মনিরুল কবির শাওন কুষ্টিয়া সনো ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের ভেড়ামারা শাখার সনোলজিস্ট।
পুলিশ সুপার এস. এম তানভীর আরাফাত জানান, ঘটনার পর রহস্য উদঘাটনে অভিযানে নামে পুলিশ। আধুনিক টেকনোলজি ও তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরিফুল ইসলাম নামে একজনকে মেহেরপুর এবং শাহজাহান আল নোমান নামে আরেকজনকে গাজীপুর জেলা থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ডা. মনিরুল কবির শাওন ঋণগ্রস্ত হওয়ায় পাওনাদাররা টাকার জন্য সব সময় তাকে চাপ দিত। তারা দু'জনেই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় পাওনাদারদের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডা. শাওন সুকৌশলে তাদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডা. শাওনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাকেও আটক করে প্রতারণা মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) একে এম জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন (শুক্রবার) দুপুরে কুষ্টিয়া সনো ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের ভেড়ামারা শাখার সনোলজিস্ট ডা. মনিরুল কবির শাওনের বাড়ি ঢুকে তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তিনি ভেড়ামারা শহরে ওই ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পাশে একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় একা থাকতেন। এ ঘটনায় ডা. শাওন বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন।