ঈদে পৌরপার্কে ৩ লাখ টাকার ফুচকা-চটপটি বিক্রি

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্টি করসেপন্ডেন্ট, র্বাতা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-26 02:23:46

এবারের ঈদে গাইবান্ধা পৌরপার্কে প্রায় ৩ লাখ টাকার ফুচকা-চটপটি বিক্রি করেছেন দোকানিরা। ঈদের দিন বিকেল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তিনদিনে এই পরিমাণ টাকার ফুচকা-চটপটি বিক্রি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (৭ জুন) গাইবান্ধা পৌরপার্কে গিয়ে দেখা যায়, পার্কের সবগুলো ফুচকা-চটপটির দোকানে উপচেপড়া ভিড়। পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আগতরা প্রতিটি দোকানে পছন্দমতো ফুচকা বা চটপটির অর্ডার দিচ্ছেন। ঈদকে ঘিরে গাইবান্ধা পৌর পার্ক এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

গাইবান্ধা শহরের বাসিন্দা গোলেনুর বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গাইবান্ধার একমাত্র উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র পৌরপার্ক। এখানে শিশুদের জন্য নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে। আর নারীদের বিশেষ আকর্ষণ ফুচকা-চটপটি। এমন কোনো নারী নেই যে এখানে এসে ফুচকা-চটপটি না খেয়ে বাড়ি ফেরেন!

জেলার দারিয়াপুর থেকে আসা এক কলেজ ছাত্রী বলেন, ঈদ ছাড়াও প্রায়ই পৌরপার্কে আসি। একটু ঘোরাঘুরি করার পর ফুচকা বা চটপটি খেয়ে বাসায় ফিরি।

নববিবাহিত তানিয়া আক্তার তৃণা বলেন, আমার বাবার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা এলাকায়। বিয়ের পর থেকে গাইবান্ধার রামচন্দ্রপুরে বসবাস করছি। বরের কাছে শুনেছি পৌরপার্কের ফুচকা-চটপটি অনেক সুস্বাদু। তাই মাঝে মধ্যে পরিবারের সবাই মিলে এখানে ফুচকা-চটপটি খেতে আসি।

শহরের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা খালেকুজ্জামান জানান, পৌরপার্কের ফুচকা-চটপটি গাইবান্ধা জেলার মানুষের কাছে খুব প্রিয়। ছুটি কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ফুচকা-চটপটি খেতে আসেন সবাই।

পার্কের রমনা ফুচকা-চটপটি হাউজের মালিক মিলন মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারে ঈদ উপলক্ষে গত তিন দিনে প্রায় ২৫ হাজার টাকার ফুচকা-চটপটি বিক্রি করেছি। এবার বেশ লাভের মুখ দেখেছি!

প্রতি প্লেট ফুচকা-চটপটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন বলে জানান জিসান ফুচকা-চটপটি হাউজের মালিক জোবেদ আলী। এবার ঈদে প্রায় ২২ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে তার দোকানে। সব দোকানিরা মিলে প্রায় ৩ লাখ টাকার ফুচকা-চটপটি বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি।

গাইবান্ধার পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন বার্তা২৪.কমকে জানান, গাইবান্ধা পৌরপার্কটি ১৯২৪ সালে স্থাপিত হয়। পার্কটিকে আগের তুলনায় আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এখানে শিশু-কিশোরদের নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে। পার্কের মাঝখানে পুকুর পাড়ে রয়েছে জনসাধারণের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় অনেক দর্শনার্থী পার্কটিতে বেড়াতে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর