প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে ডাবের পানি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। তাইতো পথেঘাটে পিপাসা মেটানোর জন্য সচেতন মানুষ বেছে নেন ডাবের পানি। এখন রমজানের মাস হলেও অনেকেই ডাব কিনে হাতে করে বাসায় নিয়ে যান।
কুষ্টিয়া শহরে প্রতিদিনই অনেক মানুষ ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম লুৎফর। ৩৫ বছরের তরতাজা এ যুবক প্রায় ২৪ থেকে ২৫ বছর ধরে ডাব বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।
গ্রামে ঘুরে ঘুরে ডাব কেনা, গাছ থেকে পাড়া আবার ভ্যানে করে শহরে পর্যন্ত আনা এরপর বিক্রির কাজ। লুৎফর ডাব বিক্রি করে প্রতিদিন ৫থেকে ৭০০ টাকা আয় করেন। এতেই চলে যায় তার সংসার।
দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসায় জড়িত থাকায় লুৎফর ডাব হাতে নিয়ে বুঝতে পারেন কোনটাতে কতটুকু পানি আছে, কোনটাতে সর বা শাঁস হয়েছে, কোনটার শাঁস শক্ত হয়েছে।
তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, সকালে গ্রাম থেকে ডাব সংগ্রহ করে শহরে এনে বিক্রি করতে হয় তাকে। ১৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ডাব কিনে থাকেন। প্রতিদিন শ’ খানেক ডাব বিক্রি হয় তার। প্রতিটি ডাবের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি করছেন তিনি।
মাহিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, তিনি বাসার জন্য চারটা ডাব কিনেছেন। পরিবারের সবাই রোজা আছেন। তাই ডাব কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রোজা শেষে ইফতারের সময় শরীরের ক্লান্তি দূর করবে এই ডাবের পানি।