ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে মংলা বন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করলেও বাগেরহাটের চাদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর আশ্রয় কেন্দ্রে নেই লোকজন। যেন সুনসান নীরবতা। আশ্রয় কেন্দ্রে ঝুলছে তালা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ৩টায় উপজেলার চাদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
আশ্রয় কেন্দ্রে ছবি তুলতে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে জানালেন, এটাতে অনেক পুরানো ও ঝুকিপূর্ণ। তালা দেওয়া থাকায় এই সাইক্লোন শেল্টারই ঝুকিমুক্ত আছে। কারণ, লোকজন উঠলে তো ভেঙ্গে পড়ার আশংকা আছে। তবে এখানকার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। সেখানে আলো-বাতিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রের দুর্গতদের জন্য শুকনা খাবার, ওষুধ ও সুপেয় পানি মজুদ করা হয়েছে।
এদিকে সকালে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর থেকে বন্দর ও পৌর শহর ছাড়াও গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মাইকিংয়ের পরও কোনো লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না।
মংলা বন্দর ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেও সকাল থেকে সেখানকার আকাশ পরিষ্কার রয়েছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সকলেই দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মে নিয়োজিত রয়েছেন। কারও মধ্যে ঝড়ের ভীতিও তেমন নেই।