ঘূর্ণিঝড়ে ফণী’র তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার দুরুল হুদা জানান, বন্দরে জাহাজ আগমন-নির্গমন ও অবস্থানরত জাহাজগুলোতে পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের ফেয়ারওয়ে, হাড়বাড়িয়া ও পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত সকল বিদেশি জাহাজসহ দেশি নৌযানগুলোকে নিরাপদে অবস্থান নিতে নিদের্শনা দিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের বড় জাহাজগুলো বন্দর চ্যানেলে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে তাদের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি নিয়ে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।
এদিকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর থেকে পৌর এলাকার প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
তবে এই মুহূর্তে স্থানীয় লোকজন নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে কিনা সেই বিষয়ে উপজেলা পরিষদে দুপুরের সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ইতোমধ্যে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: নাহিদুজ্জামান।
মংলা বন্দর ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেও সকাল থেকে এখানে রোদ্রজ্জ্বল স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সকলেই দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মে নিয়োজিত রয়েছেন। কারো মধ্যে ঝড়ের ভীতিও তেমন নেই।