নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে অনুপস্থিত ৪ চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার (ওএসডি) করা হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়।
ওএসডি করা চিকিৎসকরা হলেন- কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শওকত আলী, কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. রবিউল আলম, সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আখতার হোসেন ও মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম সায়েম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের এ কর্মকর্তাদের পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বদলি/পদায়ন (ওএসডি) করা হলো। বদলি/পদায়নকৃত এ কর্মকর্তাদেরকে আদেশ জারির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী কর্মস্থল হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী সদর হাসপাতালের চার চিকিৎসককে ওএসডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চার চিকিৎসককে ওএসডি করার পর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও প্রকাশ্যে চিকিৎসকরা মাশরাফি সম্পর্কে কটূক্তিও করছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে আকস্মিকভাবে সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মাশরাফি। এ সময় কর্তব্যরত ৪ চিকিৎসকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুস শাকুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের সমস্যার বিষয় জানতে পারেন। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার চিত্রও দেখতে পান। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন।
হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন পিপিএম, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুস শাকুর, সিভিল সার্জন ডা. আসাদ-উজ-জামান মুন্সি, হাসপাতালের আর.এম.ও ডা. মশিউর রহমান বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এমপি মাশরাফি-বিন মর্তুজা বেশ কিছু বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। অনুপস্থিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরপরই ওই চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।