বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা (সিলেবাস) অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠদান করা হয়ে থাকে। প্রথম, দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত বা ফাইনাল পরীক্ষার জন্য সিলেবাস তৈরি হয় যা বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর কথা। অথচ পরীক্ষা মঙ্গলবার, সিলেবাস দেয়া হচ্ছে পরীক্ষার আগের দিন সোমবার।
সে কারণে সিলেবাস নিতে সরকারি ছুটির দিনেও সকাল থেকে উপজেলা জেলা শিক্ষা অফিসে ভিড় করছেন শিক্ষকরা। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলায় ১শ ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডার গার্টেন রয়েছে ১৫ টি। এসব বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে।
অথচ পরীক্ষার আগের দিন সরকারি ছুটির দিন সোমবারেই (২২ এপ্রিল) উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয়ের সিলেবাস এবং পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এসেছেন সিলেবাস ও প্রশ্ন নেওয়ার জন্য। লাইনে দাঁড়িয়ে এক এক জন করে টোকেন নিচ্ছেন আর অন্য যায়গা থেকে সিলেবাস ও প্রশ্ন সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য খরচ বাবদ টাকাও নেওয়া হচ্ছে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার টাকা নিয়ে টোকেন দিচ্ছেন।
এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার এবং কিন্ডারগার্টেন গুলোতে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মাধ্যমে ১৬ হাজার সিলেবাস বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলোতে সিলেবাস দেওয়ার কথা বছরের শুরুতে যা দেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করবে। বছরের ৪ মাস চলে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা। এ সিলেবাস নিয়ে আমরা কবে পড়াব? আর শিক্ষার্থীরা কী পরীক্ষা দেবে?
তারা অভিযোগ করেন, শবেবরাতে সারারাত জেগে শরীর ক্লান্ত। অনেকেই রোজা রেখেছেন। অথচ আজকের দিনেই কেন এসব দিতে হবে, আগেও তো দেয়া যেত। প্রশ্নপত্র ও সিলেবাস নিজেরা তৈরি করলেও এত দেরিতে কেন সিলেবাস দেওয়া হচ্ছে।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে সিলেবাসের পরিবর্তন হয়ে থাকে তাই নির্দিষ্ট সময়ে দেয়া যায়নি। গত রোববার আমাদের কাছে পৌঁছানো পর থেকেই বিতরণ করা হচ্ছে।’
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত কুমার পাল পরীক্ষার সিলেবাস দিতে একটু দেরি হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘প্রথম সাময়িক কোন যায়গা থেকে কোন পর্যন্ত আসবে সেটি পূর্বেই বিদ্যালয়গুলোতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সিলেবাস তো সারা বছরের জন্য সামনে আরও দুইটি পরীক্ষা রয়েছে বলেও জানান তিনি।’
জেলা শিক্ষা অফিসার মু. শাহ আলম বলেন, ‘এটা উপজেলা শিক্ষা অফিস করে থাকে। এই বিষয়ে টিওর (উপজেলা শিক্ষা অফিসার) সাথে কথা বলেন।'