বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জ্ঞান শংকর চাকমা নামে এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
যৌথ বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তুলাতলী ডলুঝিড়ি রাস্তারমুখ এলাকায় অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাব-সেনাবাহিনী’সহ যৌথবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যৌথবাহিনীর অভিযানে টিকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পাহাড়ের অরণ্যে গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে জ্ঞান শংকর চাকমা নামে এক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ৭টি এসএমজি, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি এবং ১১ রাউন্ড গুলির খালি খোসা’সহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭ এর কর্মকর্তা মিফতা উদ্দিন বলেন, ‘রাঙামাটির বাঘাইছড়ির হামলায় অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকতর নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশকিছু অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সীমান্তের ওই পার থেকে ক্রয় করে ফের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে। এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী সীমান্তের বিভিন্নস্থানে ফাঁদ পাতে।’
‘সন্ত্রাসীদের একটি দল নিরাপত্তা বাহিনীর টহলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় যৌথবাহিনীর পাতানো ফাঁদে আটকা পড়লে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। গুলিতে নিহত সন্ত্রাসী জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং রাঙামাটি জেলার চিফ চাঁদা কালেক্টর।'
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে যৌথবাহিনীর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র্যাব-৭ এর কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসী বাঘাইছড়ি হামলায় জড়িত ছিল। যৌথবাহিনীর অভিযোগ পেলেই আইনগতভাবে মামলা করা হবে।