পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে চলতি বছর মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন চত্ত্বরে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার আনুষ্ঠানিকভাবে মধু আহরণ মৌসুমের উদ্বোধন করেন।
খুলনা পশ্চিম বিভাগীয় বন সংরক্ষক (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন জানান, চলতি বছর সাতক্ষীরা রেঞ্জে ১ হাজার ৫০ কুইন্টাল মধু এবং ২৬৫ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কুইন্টাল মধুর জন্য ৭৫০ টাকা এবং প্রতি কুইন্টাল মোমের জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষিত কম্পাটমেন্ট ৪৯, ৫১(এ), ৫১(বি), ৫২, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ নং এলাকায় মৌয়ালরা মধু আহরণ করতে পারবেন না।
‘একবার পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে মৌয়ালরা সুন্দরবনে ১৪ দিন অবস্থান করে মাথাপিছু ৫০ কেজি মধু এবং ১৫ কেজি অপরিশোধিত মোম আহরণ করতে পারবেন। তাছাড়া সুন্দরবনে অবস্থানকালীন মৌয়ালরা কোনো অগ্নিকুণ্ড বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে পারবেন না।’
তিনি আরও জানান, বন্যপ্রাণির হাত থেকে রক্ষার জন্য মৌয়ালদের প্রয়োজনীয় পরমার্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত আড়াই মাসব্যাপী সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে মৌয়ালদের যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। উদ্বোধনে ১ম দিনেই ৪ শত মৌয়াল মধু সংগ্রহের জন্য বনে প্রবেশ করেছেন।
ডিএফও বশিরুল আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন। সাতক্ষীরা সহকারি রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) জিএম রফিক আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, মৌয়াল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।