ঢাকার বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুনের ঘটনায় মারা যাওয়া কুষ্টিয়ার ইকতিয়ার হোসেন মিঠুর (৩৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বাদ জুমা জানাজার পর চর বানিয়াপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মিঠু কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চর বানিয়াপাড়া গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে।
সে বনানীর এফ আর টাওয়ারে ফ্লোগাল নামে একটি বেসরকারি কোম্পানির সিনিয়র হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে মিঠুই পরিবারের বড় ছেলে।
মিঠুর বাবা ইসহাক আলী কাপড় ব্যবসায়ী। কয়েক বছর আগে স্ট্রোক করার পর কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
মিঠুর স্ত্রী ও মিত্তাউল হোসেন মুগ্ধ নামে তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে।
মিঠুর মা রেখা খাতুন বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘কাল যখন আগুন ধরে কতো দোয়া করেছি। আমার ছেলের এতো জলদি পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেল! মিঠু আমার বড় সন্তান, তাকে ছেড়ে কি করে থাকব। আমার মিঠুর ছেলেটা এতিম হয়ে গেল। বাবা ছাড়া সে কীভাবে থাকবে!’
মিঠুর ছোট ভাই ইমন বলেন, ‘বড় ভাইয়ের সঙ্গে আমি ঢাকাতেই থাকি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ আমাকে ফোন করে জানায়, তার কর্মস্থল এফ আর টাওয়ারে আগুন ধরেছে। ১২ তলায় সে নিরাপদে আছে। পরে ১টা ৫৭ মিনিটে বলে আমার জন্য দোয়া করো, অবস্থা ভালো না। এরপর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমি ঘটনাস্থল গিয়ে তাকে খোঁজ করি। এরপর ঢাকা মেডিকেল মর্গে তার লাশ পাই।’
স্মৃতিচারণ করে ইমন বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে আমি যখন বাসা থেকে বের হই, তখনও সে বলেছে পথে সাবধানে যাবি। কাজ শেষে সময় মতো বাসায় চলে আসবি। জীবিত ভাই লাশ হয়ে ফিরবে কখনও ভাবিনি।’