কেউ আছেন দীর্ঘদিন, আবার কেউ সাম্প্রতিক সময়ের বাসিন্দা। জেলখানা হলেও বন্দী ও জেল কর্তৃপক্ষের মাঝে এক সম্পর্কের সেতু বন্ধন তৈরি হয়।
আর এর সূত্র ধরেই শীতের পিঠা খেতে বন্দীদের আবদার। শীত মৌসুম শেষের দিকে, তাই পরিবারের সাথে খাওয়া হয়নি পিঠা-পুলি। তাই বলে কি তাদের ইচ্ছা পূরণ হবে না?
বন্দীদের ইচ্ছা পূরণে এগিয়ে এলেন মেহেরপুর জেলখানার জেল সুপার। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মেহেরপুর জেলা কারগারের ৪২৫ জন হাজতী ও কয়েদিদের মনোবাসনা পূরণে খাওয়ানো হয়েছে শীতের পিঠা। এতে বেজায় খুশি মেহেরপুর জেলা কারাগারের বন্দীরা।
মেহেরপুরের জেল সুপার এ এস এম কামরুল হুদা বলেন, ‘বন্দীরা তো পরিবার থেকে দূরে আছে। তারা আমার কাছে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন প্রকার খাবার খাওয়ার আবদার করেন। নিজ উদ্যোগে তাদের খাওয়ার ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করি। এর অংশ হিসেবে তাদের সবাইকে শীতের পিঠা খাইয়েছি।’
মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেলার শরিফুল আলম বলেন, ‘জেলখানা তো বন্দীদের শুধরানোর স্থান। আমরা তাদেরকে শুধু বন্দী রাখি না। বিভিন্নভাবে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের ভালো পথ দেখাই।’
এদিকে কারাগারে বন্দীদের ইচ্ছে পূরণের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বন্দিদের স্বজন ও এলাকাবাসী।