দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা পেলেন কম্বল

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪ | 2023-09-01 20:39:05

দিনদিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো শীতের পোশাক না কিনতে পারলেও পুরনো পোশাক দিয়ে শীত নিবারণ করছেন। কিন্তু অসহায় গরীব শীতার্তরা একেবারেই মুষড়ে পড়ছে।

যদিও বা কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র দিয়ে কিছুটা হলেও শীতের লাঘব করতে সক্ষম হচ্ছে অনেকেই। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম শীতবস্ত্র বিতরণ হয়ে থাকে।

শহর ও শহরতলীর সরকারের পাশাপাশি বেশ কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের দেখা মিললেও গ্রামাঞ্চলে একেবারেই শীতবস্ত্র বিতরণের রেওয়াজ নেই। ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষগুলো অবহেলিতই থেকে যায়। এতকিছুর পরেও সমাজের বিভিন্ন প্রান্তরে দেখা মেলে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। তেমনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ জংশন এলাকায় শীতার্ত অন্ধদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ চাই এমন একটি সংগঠনের নাম 'সাফ'

সাফের কার্যক্রমের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তেই নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এজন্য লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোষ্টার বিতরণের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকেলে পোড়াদহ জংশন এলাকায় অন্তত ১৫জন অন্ধ শীতার্তদের মাঝে প্রত্যেককে কম্বল তুলে দেন সাফের নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক।

ব্যক্তিগত অর্থায়নে তিনি এসব দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের (অন্ধ ব্যক্তিদের) খোঁজ নিয়ে তাদের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করেন।

তিনি জানান, পোড়াদহ জংশন হওয়ায় এই ষ্টেশনে বেশ কিছু ভিক্ষুকের আগমন লেগেই থাকে। আমি আমার সাধ্যমতো অসহায় শীতার্তদের মাঝে কয়েকদিন ধরে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হলো যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তাদেরকে তো কেউ খোঁজ রাখে না। তাই আমি নিজেই তাদের খোঁজ নিয়ে এই কম্বল তুলে দিলাম। তাদের মাঝে কম্বল তুলে দিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।

অন্ধ ভিক্ষুক আলী হিম। তিনি পোড়াদহ রেল ষ্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, কবে কখন কই থেকে কম্বল দেয় তা আমি জানিনি। কিন্তু আমারে রাজ্জাক ভাই আইজকি (আজ) আমাক (আমাকে) ডাইকি (ডেকে) একটা কম্বল দেছে। আমার মত নাকি আরও কয়জন অন্ধ ছিলো। কম্বল পায়ে (পেয়ে) আমার খুব ভালো লাগছে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর